ল্যাপটপ এর ব্যাটারির চার্জ বাড়িয়ে নিন এই ৫ উপায়ে
ল্যাপটপ এর ব্যাটারির চার্জ
আমাদের মাঝে যারা নতুন ল্যাপটপ কিনে নিয়ে আসেন এবং শুরুর দিকে ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব ভালো হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই সেটার ব্যাটারির ব্যাকআপ একদম মাটির তলায় চলে যায় । এ প্রবলেমটা হয় বিকজ আপনার ব্যাটারির যে হেলথ আছে সেটা অনেক বেশি কমে যায় এবং এটা কেন কমে যায় তা নিয়ে থাকছে আজকের এই ব্লগ ।
আপনি যত ভালো মানের যত ভাল ব্র্যান্ডের যত দামি ল্যাপটপই কিনেন না কেন একটু সতর্কতার সহিত যদি ল্যাপটপ ব্যবহার না করেন এবং উল্টাপাল্টা কিছু কাজ আছে এগুলো যদি করেন তাহলে আপনার ব্যাটারির হেলথ মানে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির হেলথ অনেকাংশে ই কমে যেতে পারে ।
তাই আমি আপনাদের এমন ৭টি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো ফলো করলে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি কিছুটা স্বাস্থ্যবান থাকবে । দীর্ঘদিন লাস্টিং করবে এবং আপনি একটু পিস অফ মাইন্ড নিয়ে ল্যাপটপটা ব্যবহার করতে পারবেন ।
টিপস নাম্বার ওয়ান :
যখনই আপনি ল্যাপটপে খুব ইন্টেন্স এর কোন কাজ করবেন লাইক গেমিং ভিডিও এডিটিং অথবা এই ধরনের ল্যাপটপের ব্যাটারি যদি খুব দ্রুত ডিসচার্জ হয় এবং আপনি যদি আবার চার্জ করেন এবং ঘন ঘন ডিসচার্জ হয় আর সেটা যদি করতে থাকেন তাহলে আপনার ব্যাটারির হেলথ আস্তে আস্তে করে বেশি ক্ষন থাকবে ।
আমরা যেকোন কাজ ল্যাপটপ হচ্ছে আমাদের পায়ের উপর রেখে ইউজ করি আর তখন ল্যাপটপের নিচের দিকে যে এয়ার ইন্ডিকেটর ব্যান্ডগুলো থাকে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং বাতাস প্রপারলি পাস হতে পারে না যার ফলে ল্যাপটপ অনেক বেশি গরম হয়ে যায় । তখন অবশ্যই চার্জারটা গরম হয়ে যায় তখন কিন্তু আপনার ব্যাটারি আস্তে আস্তে করে ড্যামেজ হতে থাকে এই কারণে যথাসম্ভব ল্যাপটপ পায়ের উপর না রেখে যথাস্থানে রাখার চেষ্টা করবেন ।
টিপস নাম্বার টু :
রোদের মধ্যে কিংবা খুব বেশি গরম ওয়েদারের মধ্যে আপনি ল্যাপটপ ইউজ করলে খুব ইন্টেন্সিভ কাজ না করে হালকা কাজ করবেন কিংবা যদি দেখেন অনেক বেশি গরম হচ্ছে অফ করে রাখবেন । কুল হলে আবার স্টার্ট করতে পারেন । দরকার যেগুলো বেটার কাজ করে সেই ধরনের জিনিসপত্র ইউজ করে ল্যাপটপকে কোল রাখার চেষ্টা করতে পারেন । তাহলে আপনার ব্যাটারি লাইফ স্প্যান অনেক বেশি বেড়ে যাবে ।
টিপস নাম্বার থ্রী :
আপনার ল্যাপটপের চার্জ ২০% থেকে ৮০% এর ভেতরে রাখার চেষ্টা করবেন । ল্যাপটপের ব্যাটারি একদম এক্সট্রিমলি ফুল চার্জ কিংবা একদম extreme নিয়ে যাওয়াটা উচিত না । একটা সেইফ প্র্যাকটিস হল ২০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট এর ভেতরে যদি আপনি চার্জ টা রাখেন তাহলে আপনার ব্যাটারির হেলথ আগের চাইতে বেটার থাকবে ।
আপনার ল্যাপটপ দীর্ঘদিনের জন্য রেখে দেন যে আমি এক সপ্তাহ কাজ করব না কিংবা চার পাঁচ দিন কাজ করব অথবা যাদের ল্যাপটপ অকেশনালে আপনারা অন করেন সবসময় চেষ্টা করবেন ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জটা এরাউন্ড ৫০% রাখার জন্য।
আবার একদম ব্যাটারি লো করে রাখবে না ফিফটি পার্সেন্ট এর মত বা মাঝ পথে যদি চার্জ করে রাখেন তাহলে আপনার ব্যাটারিটা সেভ থাকবে এবং যদি আরো লম্বা সময়ের জন্য স্টোর করেন তখন ও কন্সাস্টে আপনারা ফিফটি পার্সেন্ট চার্জ করে তারপরে ল্যাপটপটা স্টোর করে রাখবেন।
টিপস নাম্বার ফোর :
ল্যাপটপের ব্যাটারি যখন লো হয়ে যাবে তখন পাওয়ার সেভিং মোডটা অন করে দিবেন । এতে করে আপনার ল্যাপটপ পাওয়ার কম কনজুম করবে । ব্যাকগ্রাউন্ডের অনেক প্রসেস কি লিমিট করে দেবে এবং চার্জটা অত দ্রুত ফুরাবে না । যার ফলে আপনি পরবর্তীতে চার্জার কানেক্ট করার সুযোগটা পাবেন । অন করে দিলে কিন্তু চার্জ যেমন কম ফুরাবে বেশি সময় ধরে আপনি ইউজ করতে পারবেন এবং আপনার ব্যাটারি সাইকেলও কমবে ।
টিপস নাম্বার ফাইভ :
এটা যদিও ছোট একটা জিনিস বাট অভারঅল আপনার ব্যাটারি হেলথে এটা একটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সেটা হচ্ছে আপনি যদি কখনো আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি চেঞ্জ করেন কিংবা চার্জার চেঞ্জ করেন তাহলে করবেন ব্রান্ডের ল্যাপটপের ব্যাটারি চেঞ্জ করবেন সেই ব্র্যান্ডের যদি কোন ব্যাটারি পান তাহলে সেটা লাগাবেন অথবা সেই ব্র্যান্ডের চার্জার নিবেন ।
থার্ড পার্টি কোন কিছু নেওয়ার আগে চেক করে নিবেন সে কোম্পানিতে রিপোর্ট কেনা এবং সেই কোম্পানিটা ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা এপ্রুভ কিনা । তাহলে আগেরটাই তো বেটার রাখতে পারবেন বা লং লাস্টিং করতে পারবেন । যদি আপনি লো কোয়ালিটির কিংবা এমন কোন কোম্পানির চার্জার ইউজ করেন বা ব্যাটারি ইউজ করেন এটা খুব একটা ভালো না তাহলে ব্যাটারি লাইফ খুব একটা ভালো হবে না এটাই স্বাভাবিক ।
আশা করি এগুলো ফলো করলে আপনি আপনার ল্যাপটপে ব্যাটারি হেলথ টা একটু এক্সটেন্ড করে নিতে পারবেন । আশা করছি এই ব্লগটি পড়ে আপনার উপকার হয়েছে । যদি আপনার কাছে এই লেখাটি ভাল লাগে বা উপকারে আসবে মনে হয় তাহলে এই পোস্টটি আপনি আপনার সোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন ।